ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি কার্ডের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বেকায়দায় নিরপরাধ মনির
|
![]() মোঃ আব্দুল আজিজ (পাবনা)প্রতিনিধি পাবানার ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান মনির । গত রবিবার (১৪ফেব্রয়ারি) উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দুস্থ,অসহায় ভিজিডি কার্ডধারী মহিলাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য পরিষদে ডাকা হয় এবং তাদের জমাকৃত প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে ২৪ মাসে ৪ হাজার ৮ শত টাকা হওয়ার কথা কিন্ত যে এন জি ওর মাধ্যমে টাকাটা গ্রহন করার কথা সেই এন জি অনুমতিপত্র পেতে ৬ মাস সময় লেগে যায় যার কারণে ৬ মাস পর থেকে ৭৫ টাকাসহ ২৭৫ টাকা নেওয়া হয় যাহাতে ২০১৯-২০ ভি জি ডি চক্রের ২৪ মাসে ৪ হাজার ৮ শত টাকা পুরণ হয় কিন্তু এর মাঝে ভয়াবহ করোনার কারণে ২ মাস (২৭৫+২৭৫) ৫৫০ টাকা নেওয়া হয় নাই যাহার কারণে ৪ হাজার ৮ শত টাকার যাওগায় ৪ হাজার ৪ শত টাকা ফেরত পাবে। সেই সাথে প্রতিমাসে প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২৫ টাকা চাউল পরিবহন খরচ বাবদ নেওয়া হয়েছে, এই টাকাটা নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মেম্বররা। এই ২৫ টাকা করে নেওয়ার কথা না, কারণ মহিলা বিষয়ক অফিস হইতে পরিবহন খরচের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। উপকারভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় বিক্ষোভ কারিদের দাবি,প্রতি মাসে ৩ শত টাকা করে ২৪ মাস সঞ্চয় জমা দিয়েছি। কিন্তু প্রথম ৬ মাস সঞ্চয়ের টাকা নেওয়া হয় নাই বইতে ও সঞ্চয়ের টাকা তুলা হয় নাই তখন কোন উপকারভোগী অভিযোগ করে নাই। সরেজমিনে গিয়ে কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বললে তাদের বইতে কেন টাকা উত্তোলন করা হয় নাই তার কোন জবাব তারা দিতে পারেন নাই। এবিষয়ে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মনিরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট আমার হাত দিয়ে গত অনেক গুলো ভি জি ডি চক্রের টাকা প্রদান করা হয়েছে এ ধরনের কোন সমস্যা কখনো হয় নাই এবং আমার বিরুদ্ধে উপজেলার ইউ এন ও ও মহিলা বিষয়ক অফিসে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও প্রিন্ট প্রত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে আমি মনে করি কিছু লোক উপকারভোগীদের উস্কানি দিয়ে আমাকে হেও পতিপন্ন করা হচ্ছে এবং এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি । উপকারভোগীদের কোন টাকা তসরুপ করা হয় নাই। উপকারভোগীদের বই কেন জমা নেওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হলে মনি বলেন টাকা যখন ফেরত দেওয়া হয় তখন উপকারভোগীদের বই মহিলা বিষয়ক অফিসে জমা দিতে হয় সেই জন্য বই জমা নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ৯ টি ওয়ার্ডে ৩‘শ ৫৫ জন দুস্থ,অসহায় ও অক্ষম মহিলাকে প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাউল দেওয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত এনজিও মানব কল্যাণ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে প্রতিমাসে উপকার ভোগীদের চাউল দেওয়ার আগে সঞ্চয়ের টাকা গ্রহণ করেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের হিসাবরক্ষক কাম- কামকম্পিউটার অপারেটর উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, ভিজিডি খাদ্য শস্য পরিহনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি মে.টনে দুরত্ব অনুযায়ি পরিবহন খরচ বহন করে থাকে। অষ্টমনিষা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আয়নুল হক বলেন, ভিজিডি কার্ডধারীদের নিকট হতে পরিবহন খরচের জন্য প্রতিমাসে ২৫ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
|