করোনায় আক্রান্ত ৯০ শতাংশই চিকিৎসা নিচ্ছে বাসায় থেকে
|
![]() মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান |
চীফ রিপোর্টার |
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যারা বলছে হাসপাতালে বেড খালি নেই তারা কোন তথ্য বা কিসের ভিত্তিতে এমনটা বলছে, আমার জানা নেই। রাজধানী ঢাকায় হাসপাতালে ৫০ শতাংশ বেডই খালি পড়ে আছে। আর ঢাকার বাইরে তো আরো বেশি খালি পড়ে আছে। যেমন— বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারে দুই হাজার ১৩ বেডের মধ্যে বর্তমানে রোগী আছে মাত্র ১০০ জন। বাকিটা খালি পড়ে আছে। এ ছাড়া আমাদের দেশে কভিড আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়ার মতো জটিলতা খুব বেশি রোগীর নেই।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল রবিবারের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কভিডের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ৯১০টি শয্যা। এর মধ্যে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল মোট ৫৮৯ জন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৫০০। গতকাল রোগী ছিল ৩৩২ জন। ৫০০ বেডের মুগদা জেনারেল হাসপাতালে রোগী ছিল ২৩৪ জন। ২০০ বেডের কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রোগী ছিল ১৩৫ জন। ১৫০ বেডের মহানগর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৭ জন। ৫০ বেডের রিজেন্ট হাসপাতালে রোগী ছিল ২৫ জন। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে শয্যা আছে এক হাজার ২৪০টি। গতকাল এখানে রোগী ভর্তি ছিল ৬৫৭ জন। এ ছাড়া ২৫০ বেডের শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ৩১ জন, ১২০ বেডের লালকুঠি হাসপাতালে ৫৮ জন, ১০০ বেডের রেলওয়ে হাসপাতালে ১০ জন, ৫০০ বেডের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ২০৯ জন, ২০০ বেডের আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ৬৫ জন রোগী ভর্তি ছিল গতকাল। ঢাকার বাইরে অন্য হাসপাতালগুলোতেও কভিড আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেডের তুলনায় অনেক কম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে কভিড রোগীদের জন্য আইসোলেশন বেড রয়েছে ১২ হাজার ৩৪টি। এর মধ্যে গতকাল সকাল পর্যন্ত রোগী ছিল চার হাজার ৫৮১ জন। সে হিসাবে ৬১.৯৩ শতাংশ শয্যা খালি রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশে কভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মোট এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিল চার হাজার ৫৮১ জন। মোট সুস্থ ৪৫ হাজার ৩০৬ জন। দেশে মোট মারা যাওয়া এক হাজার ৪৬৪ জনের মধ্যে প্রায় এক হাজার ১০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বাকিরা বাড়িতে মারা গেছে। এই পরিসংখ্যান অনুসারে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৬৭ হাজার ২২৯ জন করোনা পজিটিভ। তাদের মধ্যে ৬১ হাজার ১৮৪ জন অর্থাৎ ৯৩.৬৩ শতাংশ বাসায় রয়েছে। বাকি ৬.৩৭ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
|
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |