অবরোধে সরকারী নিষেধাজ্ঞা মানছে না মহিপুর-আলিপুরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা
|
||
![]() পটুয়াখালী প্রতিনিধি: সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে বাধাহীন প্রজননের জন্য মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরের মত এবছরও সরকার ৬৫ দিনের অবরোধ ঘোষণা করেছেন। এসময়ে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধের জন্য জেলেদের বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু সরকারি সেই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবাদে মাছ শিকার করছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরের আলিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল কোম্পানী, বেল্লাল কোম্পানী ও শহিদ কোম্পানীর মালিক প্রভাবশালী তিন ভাইসহ একাধিক অসাধু ব্যবসায়ীরা। সাধারন জেলেরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানলেও প্রভাবশালীদের ক্ষমতার কার্যকলাপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মহিপুর বন্দরের আলিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী তিন সহোদর ভাই সরকারের নিষেধাঙ্গার তোয়াক্কা না করে গভীর সমুদ্রে অবাদে মাছ আরোহন করে যাচ্ছে। এফ.বি এলমা আক্তার নামে আবুল কোম্পানীর ৪ টি বোর্ড রয়েছে যা গত কয়েকদিন আগে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। সেসব ট্রলার হতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাগরে বসে ছোট ট্রলারে প্রায় ৭০ মন মাছ আনলোড করা হয়। যা স্থানীয় পাইকার চয়ন ও রহিমের ক্লোস্টারে রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। আবুল কোম্পানীর ৪ টি ট্রলারের মধ্যে ৩ টি ট্রলার ঘাটে ফিরলেও এফ.বি এলমা আক্তার-১ নামের ট্রলারটি এখনও গভীর সাগরেই রয়েছে। আবুল কোম্পানীর এক ভাই বেল্লাল কোম্পানীর ৫ টি ট্রলারের মধ্যে নবী মাঝী কর্তৃক চালিত এফ.বি সায়েম নামের ট্রলারটি গভীর সাগরে মাছ ধরছে বলে জানা যায়। তার আরেক ভাই শহিদ কোম্পানীর এফ.বি আল-মামুন নামের ট্রলারটিও গভীর সাগরে মাছ ধরায় ব্যস্ত রয়েছে। এছাড়াও মহিপুর মৎস্য বন্দরের নিজু মাঝি, নাসির ব্যাপারী ও জয়দেব বাবুর বোর্ডসহ আরোও কিছু বোর্ড গভীর সমুদ্রে রয়েছে বলেও জানা যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে মাছ ধরা, বিক্রি করা ও মজুদ রাখার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। দু-একটি ছোট খাট চালান ধরলেও বড় বড় রাঘব বোয়ালরা অজানা কারনে ধরা ছোয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে। এসব দেখে স্থানীয় সাধারন জেলেদের মনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারন জেলেরা অতি কষ্টের মধ্যে থেকেও যেখানে সরকারী নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সেখানে তিন ভাইয়ের মত অসাধু ব্যবসায়ীদের এধরনের হীন কাজে তারা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সাধারন জেলেদের মতে, যারা ক্ষমতার দাম্ভীকতায় অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি নিষেধাঙ্গা অমান্য করে মা ইলিশ নিধন করছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। সাধরন জেলেদের দাবী, সরকার তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করুক অন্যথায় অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে অবাধে মাছ ধরার অনুমতি দিক। আবুল কোম্পানীর স্বত্তাধীকারী মো. আবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদকর্মীদের বলেন, আমার সব কয়টি বোর্ড এখন ঘাটে রয়েছে। একটি ট্রলারে বরফ ভরেছিলাম কিন্তু প্রশাসনের তোপের মুখে বরফ সরিয়ে নিয়েছি। বন্দরের কিছু লোক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে বলেও তিনি জানান। মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি চালান আটক করে পৃথক পৃথক জড়িমানা আদায় করেছি। মা ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও তিনি জানান। এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, মা ইলিশ নিধনে অবরোধের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহিপুর মৎস্য বন্দরের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর মাছ ধরার বিষয়ে আমি জেনেছি। এবিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য আমি কলাপাড়া মৎস্য অফিসে একটি চিঠি ইস্যু করেছি কিন্তু এখনও তার কোন রিপোর্ট পাইনি। অবরোধের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী মৎস্য অফিস তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানান। ####
|
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |