রৌমারীতে কবি মু আ রাজ্জাক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
|
![]() রাইসুল ইসলাম ফুল রাজিবপুর কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কৃতিসন্তান সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার, শিক্ষানুরাগী, সাংবাদিক ও কবি মু আ রাজ্জাক এর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন স্মরণে নুরপুর রহমানিয়া দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার হলরুমে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্ব) সকাল ১১টায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব বখতিয়ার হোসেন,অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নুরপুর রহমানিয়া দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নাসিম। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন-নুরপুর রহমানিয়া দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ রিয়াজুল হক,ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও কমিটির সদস্য মোঃ ফজলুল হক, রৌমারী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এম আর ফেরদৌস, সাবেক সহ-সুপার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মরহুমের বড়ছেলে মশিউর রহমান পলাশ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোজাহার হোসেন, সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম,আলী আকবর, সহকারী মৌলভী সাদেক হোসেন, এবতেদায়ী প্রধান মিজানুর রহমান,তারামিয়া প্রমুখ।কবি মু আ রাজ্জাকের স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ,তিনি একাধারে একজন সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব , সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক শিক্ষানুরাগী কবিসহ বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের চলমান সংগ্রামকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে বেগবান করার আহবান জানান। কবি মু আ রাজ্জাকের স্মরণসভায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল, এক মিনিট নীরবতা পালন ,প্রয়াত কবি’র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উল্লেখ্য যে,তিনি ১৬ জুন সকাল সাড়ে ৮ টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। কবি মু.আ রাজ্জাক দীর্ঘ দিন যাবত কিডনি ও লিভার রোগে ভুগছিলেন। এর আগে অসুস্থ হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।কবি মু.আ রাজ্জাক ছাত্র জীবন থেকে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে ছিলেন। “শান্তি নাই” কাব্যগ্রন্থ নামের একটি বই প্রকাশ করেন। তিনি দৈনিক করতোয়ায় ও গণপ্রহরী পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়াও তিনি রৌমারী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দ্বীপদেশ, সংযোগ সাময়িকী ও আয়না পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সামজিক সংগঠনের মধ্যে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন প্রয়াস নাট্য সংগঠন, সুবচন কবিতা পরিষদ, যাত্রীক শিল্পি গোষ্ঠিসাংস্কৃতিক সংগঠন, রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা এবং নুরপুর দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি থেকেই মৃত্যুবরণ করেন।পাশাপাশি তিনি ২০১৯ সালে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রাখায় কবি মু.আ রাজ্জাককে কুড়িগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও কবিতা নাটক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে বিশেষ অবদান রাখায় কবি মু.আ রাজ্জাককে রৌমারী দর্পণ নাট্য দলের পক্ষ থেকে আজীবন, প্রিয়জন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনি পেশায় হোমিও চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৫১ সালে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নুরপুরপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এই খ্যাতিমান সাংবাদিক। তার বাবা ছিলেন মরহুম পন্ডিত মোখলেছুর রহমান ও মাতা রাহিলা বেগম। তিনি মৃত্যু কালে স্ত্রী, দুই ছেলে, আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
|