বিয়ের প্রলোভনে ধর্মান্তরিত করে শারীরিক মেলামেশা, পরে মারধর, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কিশোরী, সাতদিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
|
![]() বশির আহমেদ কাজল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক পোশাক কারখানার শ্রমিক কে ধর্মান্তরিত করে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছিলেন শরীফ নামে এক যুবক। পরে বিয়ের দাবি তোলায় তাকে মারধোর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে অভিযুক্তরা। এমন অভিযোগে ৭ দিনেও মামলা নেয়নি শ্রীপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্তরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিম চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন এখন। শারীরিক ও মানসিক ভাবে আহত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এখন কিশোরীটি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অভিযুক্ত শরীফ আহমেদ (৩০) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন এর ছেলে। ভিকটিমের ভাষ্যমতে, সে একজন সনাতন ধর্মের অনুসারী। অভিযুক্ত শরীর ও ভিকটিম একই কারখানার চাকুরীর সুবাদে পরিচয় হয়। পরে গত এক বছর ধরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরইমধ্যে অভিযুক্ত যুবক ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। সম্প্রতি ভিকটিম বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বললে সে অনুযায়ী সে ইসলাম ধর্মে আবদ্ধ হয়েছে। পরে জানতে পারেন অভিযুক্ত যুবক অন্য এক নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন। এ খবরে গত ২৯ আগস্ট সে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি গিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে শরীর তার ভাই তরিকুল, তার বাবা রিয়াজউদ্দিন ও তার মা শিরিনা আক্তার তাকে মারধর করে আহত করে। স্থানীয়দের সহায়তায় সেদিন ভিকটিম শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দেন। তিনি আরো জানান সনাতন ধর্ম ত্যাগ করাই তার সাথে তার স্বজনরা সকল ধরনের সম্পর্ক ত্যাগ করেছে। সব ত্যাগ করে তিনি শরীফের হাত ধরে বের হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তার সবই তো শেষ করে দিয়েছে। এখন কে বা কোথায় হবে তার আশ্রয়? তিনি থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্তরা। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে এখন তাকে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। থানা থেকে কয়েকবার তার সাথে যোগাযোগও করা হয়েছে তবে রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলা গ্রহণ করছে না। ভিকটিমের বাড়ির মালিক ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের রতন মিয়া জানান, গত কয়েকদিন ধরে এই মেয়ে টি কোন খাবারই খাচ্ছে না, শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে কোনো কথাও বলতে পারছে না। তার পরিবারের লোকজনদের খবর দেওয়া হয়েছিল তবে ধর্মান্তরিত হওয়ায় তাকে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় মেয়েটির জীবন নিয়ে হুমকি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান গত কয়েকদিন ধরেই বাড়িতে কেউ নেই। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হাসান জানান অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে কিছুটা সময় লেগেছে। এ ঘটনায় মামলা রুজু হবে।
|