২৫ বছর থেকে বিধবা ভাতা থেকে বঞ্চিত নুরজাহান
|
![]() মোঃমনিরুল ইসলাম রাঙ্গাবালী (পটুুয়াখালী) প্রতিনিধি:- শরীর জরাজীর্ণ ক্লান্তির ভাব,পরেছে বয়সের ছাপ বিভিন্ন রোগে শোকে কাতর হয়েও মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছে তার চিকিৎসা ঔষধ,দুটি ছেলে রয়েছে তারা দিনমজুর,মায়ের চিকিৎসা করে তারাও সর্বহারা, ছেলে মেয়ে নিয়ে নিজেদের সংসার চালাতে তারাই হিমসিম খাচ্ছেন,স্বামী মারা গেছেন ২৫ বছর আগে।সরকারের ঘোষণা ও নীতিমালা অনুযায়ী বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পাওয়ার দাবিদার,অথচ ২৫ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ভাতা পাননি,নুরজাহান। নুরজাহানের বাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা গ্রামে তিনি মৃত লালু গাজীর স্ত্রী, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তিনি লিভার, গ্যাস্ট্রিক, আলসার,সহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত,জাতীয় পরিচয়পত্রে ৫২ বছর থাকলেও বাস্তবে ৬০ বছর বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীর। কান্না জরিত কন্ঠে নুরজাহান বলেন,২৫ বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি একটি বিধবা নামের আশায়,চেয়্যারমান মেম্বরদের কাছে গেলে বলে পরে দেব এখন চলে যান,আমি অনেক রোগে আক্রান্ত ঔষধের টাকা যোগান দিতে ভিক্ষাবৃত্তি করতে হচ্ছে,খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি সরকারের কাছে আমার চিকিৎসার দাবি যানাই। ইউপি সদস্য বেল্লাল বলেন,তার জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স কম থাকায় বয়স্ক ভাতা নামটি নেয়া যাচ্ছেনা, আর এই মুহুর্তে বিধবা বই খালি নেই যদি খালি হয় দিতে পারবো। রাঙ্গাবালী সমাজসেবা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ছাইউম বলেন, নতুন করে কোন বরাদ্দ নেই বরাদ্দ আসলে দিতে পারবো, তবে ইউনিয়ন চেয়্যারমান এর সাথে কথা বলতে পারেন, ওখানে বিধবা ভাতা পান এমন কেউ যদি মৃত্যুবরন করে থাকেন, তাহলে চেয়্যারমান চাইলে নামটি অন্তভুক্ত করতে পারেন। বড়বাইশদিয়া ইউপি চেয়্যারমান ফরহাদ হোসেন বলেন,এ নামে আমার কাছে কেউ আসেনি যদি আসে আমি তাকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করবো।
|