উপকুলীয় অঞ্চলে সার পৌছাঁতে লোকসানে বি,সিআই,সি ডিলাররা, সুষ্ঠ নিতিমালার দাবী
|
![]() মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী। দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই সরকার প্রান্তিক কৃষক জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে কৃষির উন্নয়নের লক্ষে সরকার শত কোটি টাকা ভূর্তগী দিয়ে ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সার পৌছেঁ দিলেও, পটুয়াখালী জেলার দক্ষিন সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় সুষ্ঠু নিতিমালার অভাবে দূর্গম এলাকায় সার পৌছাঁতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ডিলারদের। যা বর্তমান সময়ে সার ডিলারদের মরার উপর খরার ঘা’য়ে পরিনিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলায় দীর্ঘ দিন ধরে বাফার গুদাম না থাকায় বরাদ্দকৃত ৫০% বরিশাল ও ৫০% চিটাগাং ফাটিলেইজার থেকে দেয়া হয়। তথ্যে সূত্রে জানা যায় ২০০৯ সালের নিতিমালা অনুয়ায়ী পরিবহণ খরচ ও লাভ্যাংশ সহ ১শত টাকা ধার্য্য করা হয়েছিল । যা বিগত ১৪ বছরে দফায় দফায় পরিবহণ খরচ, নিত্যপন্য দ্রব্য মূল্যে ও জ্বালানী তেল মূল্য বৃদ্ধি হলেও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, ২০০৯ সালের নিতিমালা অনুযায়ী পূর্বের তুলোনায় বর্তমান সময়ে বিসিআইসি’র “সার” ডিলারদের পরিবহণ খরচসহ লাভ্যাংশ এক টাকাও বারেনি। যে কারনে দূর্ভোগে পরেছে উপকূলীয় সমুদ্র অঞ্চলের লাইসেন্স কৃত সার ডিলাররা। অনুুসন্ধানে কতিপয় সার ডিলারের গণমাধ্যমকে জানান, যশোর নওয়াপাড়া এবং চিটাগাং থেকে সড়ক পথে পরিবহন করে উপকূলীয় দূর্গম অঞ্চলে নদী পথে পৌছাঁনো পর্যন্ত ট্রলার থেকে উপরে বার বার লোড আন-লোড এ লেবার – শ্রমীক মুজুরী বৃদ্ধি হওয়াটাও অধিক লোকসানের কারণ বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা আরও পরিবহণের জটিলতার কারনে চাষি সঠিক সময়ে সার ক্রয় করতে না পারলে, কৃষি আবাদীর শস্যের পুষ্টি গুনের অভাবে চাষিরা বাম্পার ফলনের অনিশ্চয়তার শংকায় ভূগতে পারে। তারা আরও বলেন, বি,সি,আই,সি,’র সারের বস্তার গায়ে বর্তমান সর্বচ্ছ খুচরা মূল্য না লিখে, ডিলার ক্রয় মূল্য লেখা থাকে। বর্তমানে পূর্বের বস্তার গায়ে লেখা (৭০০) সাত শত টাকা। অথচ বর্তমানে চাষিদের ক্রয় মূল্য (১১০০) এগারো শত টাকা। এতে করে প্রতিটি ডিলার লোকসান দিয়েও প্রশাসন, সাংবাদিক ও চাষি পর্যায়ের জবাবদিহিতা ও লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। তাই অনিত বিলম্বে পটুুয়াখালীতে বাফার গুদাম এবং জেলা ওয়ারী পরিবহণ খরচ বিবেচনায় আনার জোর দাবী জানান। ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪ (চৌদ্দ) টাকা হতে বৃদ্ধি করে প্রতিকেজি ২০ (বিশ) টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬ (ষোল) টাকা হতে বৃদ্ধি করে প্রতিকেজি ২২ (বাইশ) টাকা পুননির্ধারণ করেছে সরকার। যা গত ০১ আগস্ট ২০২২ হতে কার্যকর করা হয়েছে। তাদের দাবী বর্তমান সময় বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যেন একটি সুষ্ঠ নিতিমালা প্রণয়ণ করে উপকূলীয় দূর্গম অঞ্চলের সার ডিলারদের পরিবহণ খরচসহ পূর্বের তুলোনায় কিছুটা বৃদ্ধি করে সহায়তা করেন এমনটাই বিসিআইসি’র সার ডিলারদের প্রত্যাশা।
|
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ | ৩১ |