পূর্বধলায় সরকারি রাস্তা কেটে ফসলি জমি তৈরি ; অভিযোগ দাখিল
|
![]() নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার সদর ও জারিয়া ইউনিয়নের খারছাইল পূর্বপাড়া গ্রামে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত রাস্তা কেটে তা ফসলি জমিতে রুপান্তর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার ২৯ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম মন্ডল । খারছাইল গ্রামের হাজ্বী মাও. আবেদ আলী, আব্দুল জব্বার, আবুল হাসিম, ও সাদির মিয়ার নামে এ অভিযোগটি করেন তিনি। সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, প্রায় ৮ ফুট চওড়া ওই রাস্তার ময়মনসিংহ-বিরিশিরি মহাসড়কে সংযুক্ত অংশের প্রায় ২০০ ফুট কেটে ফসলি জমি করা হয়েছে। ফলে সড়কের যেটুকু অংশ অবশিষ্ট, অতিবৃষ্টিতে সেখানে ভাঙনের ফলে তা দিয়ে হেঁটে চলাই কষ্টকর। রাস্তার পাশের একটি বাড়ির পথচারী আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, সড়কটি হওয়ার পর তাঁরা ভালোভাবে চলাচল করতে পারতেন। এখন সড়কটি কেটে ফেলায় বাড়ি পর্যন্ত রিকশা আসে না। আরেক প্রতিবেশী মোঃ হেলাল বলেন, রাস্তাটি কেটে ফেলায় তাঁরা বিপদে পড়ে গেছেন। আমিনুল ইসলামের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দেওটুকোণ মৌজার এস.এ দাগ নম্বর ১২৮ মোতাবেক বি.আর.এস দাগ নম্বর ৪৭ এ অবস্থিত হালটে দেওটুকোণ চকপাড়া কালীমন্দিরের সামনে থেকে খারছাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কয়েক দিন আগে নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল এতে নতুন করে মাটি ফেলে চলাচল যোগ্য করেন। কিন্তু গত বুধবার খারছাইল গ্রামের মাও. আবেদ আলী, আব্দুল জব্বার তাঁর লোকজন দিয়ে দেওটুকোণ চকপাড়া এলাকায় নিজের জমির পাশ-ঘেঁষে চলে যাওয়া রাস্তা কেটে নিজের জমিতে মাটি ফেলা শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো এলাকাবাসীকে হুমকি দেন তারা। অভিযোগকারী আমিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা হেঁটে চলা ছাড়াও রিকশা-ট্রলি দিয়ে মালামাল পরিবহন করে। আবেদ আলী তাঁর ফসলি জমি বাড়াতে প্রতি মৌসুমেই রাস্তা কেটে ফেলেন। বাধা দিলেও কাজ না হওয়ায় ইউএনও বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবেদ আলী বলেন, ‘অন্য সবার জমি থেকে আমার জমিতে বেশি মাটি খনন ও ফেলা হয়েছে ; তাই অতিরিক্ত অংশ আমি কেটে ফেলে দিয়েছি।’ জবাবে এই অংশটি মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত, উঁচু ও বাঁক হওয়ায় এ অংশে বেশি মাটি ফেলা হয়েছে, তাছাড়া এটি সরকারি হালট, এর মালিক বাংলাদেশ সরকার; জানালে তিনি বলেন, এতে আমার কিছুই করার নেই। জানতে চাইলে পূর্বধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বৃহঃপতিবার নাগাদ রাস্তার কেটে ফেলা অংশ ঠিক করে দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যবদি তারা তা করেনি’ । ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি সহকারী ভূমি কমিশনার’কে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ | ৩১ |