বেতাগীতে পুকুরে মিললো নদীর জলের শস্য ইলিশ
|
![]() বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি এবারে বরগুনার বেতাগী উপজেলার একটি পুকুরে মিলেছে নদীর জলের শস্য ছোট-বড় সাইজের ৭ টি ইলিশ মাছ। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন প্রায় ৫০০ থেকে ৪০০ গ্রাম বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর পুকুরে ইলিশ ধরা পড়ার খবর মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পরলে পুকুর ও তাজা ইলিশ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ছোট মোকামিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য রিজিয়া বেগমের পুকুরে সোমবার (২০ জুন ) ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুর থেকে ওই এলাকার মহিলা ইউপি সদস্য রিজিয়া বেগমের বাড়ির পুকুরে মাছ ধরার সময় পরিবারের সদস্যরা ওই ইলিশ মাছ দেখতে পায়। ওই সময় অন্যান্য মাছের সাথে ৭ টি ইলিশ মাছ পান তারা। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। পুকুরের জেন্ত ইলিশ হাতে নিয়ে ছবি তুলি। পুকুরের মালিক মোসা: রিজিয়া বেগমের ছেলে মঈনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়ায় আমরা আনন্দ পেলেও বিষয়টি অবাক করার মতো। তবে কীভাবে পুকুরে ইলিশ আসলো তা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। রিজিয়া বেগম বলেন, পুকুরে মাছ ধরার সময় অন্যান্য মাছের সাথে ৭টি ইলিশ মাছ পেয়েছি। বর্ষায় হয়তো বৃষ্টির সাথে ইলিশ পুকুরে আসতে পারে। বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল গফফার জানান, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সাথে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। তবে এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে। বেতাগী উপজেলার বিদায়ী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকতা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পুকুরে ইলিশ চাষ পুরোপুরি শুরু হলে জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে আর জাটকা নিধন করবে না বলে আশা করা হচ্ছে। জীবন্ত জাটকা আহরণ করে জেলেরাই ইলিশ চাষীদের কাছে বিক্রি করতে পারবে। বদ্ধ জলাশয় অর্থাৎ পুকুরে ইলিশ চাষ সর্বত্র বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু করা গেলে দেশের মৎস্য খাতে বৈপ্লাবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
|