পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর নেতৃত্বে মহিপুর থানাভবন ঘেরাও
|
![]() আব্দুল কাইয়ুম (আরজু), কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মামলার আসামি গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে থানাভবন ঘেরাও- উপজেলার মহিপুরে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত সাফিয়া বলেন, একজন নিরপরাধ লোককে থানায় ধরে নিয়ে এসেছে। আমরা এর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ স্বরূপ থানার সামনে অপেক্ষমান ছিলাম। পুলিশ অতর্কিত আমাদের ওপর লাঠিপেটা করেছে। পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় ৭নং লতাচাপলী ইউপি নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের ফাসিপাড়া গ্রামে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী আবুল কাজীর সমার্থক ও পরাজিত আঃ জলিল ঘরামীর সমর্থকের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে মামলা হলে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর এক আসামীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানাভবন ঘেরাও করে স্থানীয় ভোটাররা। জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুর থেকে টানা ৩ঘন্টা বিক্ষুব্ধ জনতাকে (আটককৃত আসামীর) মুক্তির দাবী নিয়ে আলোচনায় রাজি করাতে ব্যর্থ হলে থানা প্রাঙ্গণ থেকে বেড় হওয়ার নির্দেশ দেন কর্মরত মহিপুর থানা পুলিশ সদস্যরা। বিপরীত দাবী আনলে পুলিশের লাঠিচার্জে বিক্ষুব্ধ সমার্থকদের সাথে পাল্টা হামলা সংগঠিত হলে পুলিশের এসআই সহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়। তবে হামলার শিকার ভুক্তভোগীরা বলেন যৌক্তিক দাবীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্চ করা হয়েছ। আলোচনা হলেও শেষ অব্দি লাঠিচার্চ এবং পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিপেটার বিক্ষুব্ধ জনতার পাল্টা জবাবে এসআই আঃ হালিমসহ কনেস্টবল যথাক্রমে মিলন, ওবায়দুল, আবজাল এবং নারী কনেস্টবল শীলা ও নাসরীন আহত হন। এসময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে দুই নারীসহ অন্তত ১৪জন বিক্ষুব্ধ সমর্থক আহত হয়েছেন। এরা হলেন আঃ রাজ্জাক, রাজা মিয়া, দুলাল, মনির মোল্লা, মনিরুজ্জামান, কাদের মাঝী, মিলন বেপারী, ওবায়দুল্লাহ, ইলিয়াস, রায়হান, মোসলেম, মজিদ, ইউসুফ, নারী সমর্থক বিউটি ও সাফিয়া। এদেরকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের ‘ঢাকা টাইমস’কে জানান, আহত পুলিশের এসআই হালিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন। ওসি আরও বলেন, উপজেলার মহিপুরে ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার মামলায় মোঃ খলিল নামে এক আসামীকে গ্রেফতারের পর তার ভাই পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আঃ জলিলের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে। পরে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আঃ জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নে তৎক্ষনাৎ উত্তেজনা বিরাজ করলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি এছাড়া আরো বলেন, বিশেষ করে দেশের সর্বদক্ষিণে কুয়াকাটাসহ বিশেষ প্রতিটি যায়গায় পরিবেশ স্বাভাবিক করতে এবং অপরাধ প্রবনতা থেকে তরুনদের ফিরিয়ে আনতে মহিপুর থানা পুলিশ সবসময় কাজ করছে। পর্যটন নগরী ও মৎস্য বন্দরকে কেন্দ্র করে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে এবং সকল দুর্ধর্ষ অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সকলের সহযোগীপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান করেন মহিপুর থানার (ওসি) আবুল খায়ের।
|