নওগাঁর আত্রাইয়ে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভুতভাবে আসবাবপত্র বিক্রির অভিযোগ
|
![]() নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের শলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লোহার জানালা, দরজা, রডের চেয়ার, টিনের রেলিং, পুরাতন আলমীর গ্রিলসহ মূল্যবান আসবাবপত্র গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুল কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় খোলা পর গত শনিবার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দে কারণে বিষয়টি বেরিয়ে আসলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৫ সালে দোতলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবনের অনুমতি মেলে। পরে স্কুলের নতুন ভবন তৈরি শেষ হলে পুরাতন ভবনের মূল্যবান মালামাল স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে একটি পুরাতন ঘরে পড়ে থাকে। গত নভেম্বর মাসে করোনা আক্রান্তের হার বরাবরের মতো বেড়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ থাকা সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুল কমিটির সভাপতির যোগসাজশে স্কুলের পিয়ন এর সহযোগিতায় স্কুলের লোহার জানালা, দরজা, রডের চেয়ার, টিনের রেলিং, পুরাতন আলমীরা গ্রিলসহ মূল্যবান আসবাবপত্র বিক্রি করে দেন। কত টাকার মালামাল বিক্রি করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, সরকারি নির্দেশ বিদ্যালয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা জন্য পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রির অনুমতি দিয়েছি, তবে কোন রেজুলেশন করা হয়নি। এ দিকে শলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, এসব আসবাবপত্র বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তাছাড়া প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের কোন বিষয়ে আমাকে অবগত করেন না। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। টেন্ডার ছাড়াই মালামাল বিক্রি করা হলো কেন? জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকা রেহেনা বানু বলেন, এগুলো বিক্রি করে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেছি। এবং যা করেছি আমি শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেই করেছি। এছাড়া স্থানীয় কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আত্রাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, শলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রি করেছে এমনটা শুনেছি। ঘটনাটি তদন্তে একজন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঘটনা সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে
|