নিজস্ব প্রতিবেদক :-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মাদক ব্যবসায়ি শৈলেন মালাকার গ্রেফতারের এক মাস পাঁচ দিন পরে বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশী মদ, দেশীয় চোলাই মদ ও মদ তৈরির উপকরণসহ শৈলেন মালাকার স্ত্রী মালা মালাকারকে গ্রেফতার করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। অপর এক অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ অপর এক মাদক ব্যবসায়ি গ্রেফতার হয়েছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে।
শনিবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ও সেরাল গ্রামে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো ইশতিয়াক হোসেনের নেতৃত্বে বাকাল গ্রামের শৈলেন মালাকারের বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বসত ঘর তল্লাশী চালিয়ে বিভিন্ন ব্যান্ডের ৮০ বোতল বিদেশী মদ, ২০ লিটার চোলাই মদ ও মদ তৈরির চারশ’ লিটার উপকরণসহ গৃহকর্তী মালা মালাকারকে (৪১) আটক করেন তারা।
অন্যদিকে একই দিন সন্ধ্যায় উপজেলার সেরাল গ্রামে হক মৃধার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে হক মৃধার ছেলে রহমান মৃধাকে (৩৪) ১০ পিস ইয়াবা ও ১শ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
মদ উদ্ধার ও আটকের ঘটনায় উপ-পরিদর্শক ইশতিয়াক হোসেন বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন, নং-১১(১৯.২.২২)। ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার ও আটকের ঘটনায় ছিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন, নং- ১০(১৯.২.২২)।
রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত মালা মালাকার ও রহমান মৃধাকে আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি বরিশাল র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মালা’র স্বামী শৈলেন মালাকারকে এক লিটার বোতলের ৬ বোতল বিদেশী মদ, ১০ বোতল কেরু কোম্পানীর মদ ও ২৫(পঁচিশ) লিটার চোলাই মদসহ গ্রেফতার করেছিল। শৈলেন মালাকার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর থেকে মাদক খাবার লাইসেন্স নিয়ে গড়ে তুলেন বিক্রয় ও মাদক তৈরী কারখানা। ব্যাবসা পরিচালনা করতে গিয়ে গড়ে তুলেন নিজস্ব বাহিনী। ওই ঘটনায় র্যাব ডিএডি জিএম আনসার আলী বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেছেন, নং-৭ (১৩.১.২২)। স্বামী শৈলেন মালাকার জেলহাজতে থাকলেও স্ত্রী মালা মালাকার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করতেন।
সংবাদটি পঠিত : ১৩৭
৩০