নওগাঁর আত্রাইয়ে বীরনিবাসের কাজ এগিয়ে চলছে
|
![]() মোঃ ফিরোজ হোসাইন নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে প্রথম পর্যায়ে এগিয়ে চলছে অসচ্ছল আট মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার দৃষ্টিনন্দন বীরনিবাসের কাজ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম এর তত্তাবধানে প্রকৌশলী জুনায়েদ আলম এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার(পিআইও)মেহেদী হাসানের সহায়তায় বাড়ীগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান অর্থবছরে আবাসন নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় আট অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বাসগৃহ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। বাসগৃহগুলো ছয়’শ পঁয়ত্রিশ স্কয়ার ফিট যাইগার উপর তিনটি বেডরুম, ড্রইংরুম, রান্নাঘর ও ২টি বাথ-টয়লেট আছে। দশ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনিতে ছাদসহ প্রতিটি ঘরে দুটি করে মোট আটটি থাইগ্লাস ওয়ালা জানালা এবং একটি করে কাঠের দরজা রয়েছে। সেই সাথে সাবমার্সিবল পাম্প দ্বারা শাপলাই পানির ব্যবস্থা আছে। প্রতি নিবাসে চৌদ্দ লাখ দশ হাজার তিনশত বিরাশি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সিডিউল অনুযায়ী এক নম্বর ইট, বসুন্ধরা সিমেন্ট এবং রাজশাহীর বালির সংমিশ্রণে শেখ মো. নাদিম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাড়ী নির্মাণের কাজ করছেন। সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার উপস্থিত থেকে কাজের গুনগত মান বুঝে নিচ্ছেন। এদিকে মনিটরিং কমিটি প্রকল্প পরিদর্শণে গিয়ে এলাকাবাসী ও সুবিধাভোগী পরিবারকে সিডিউল অনুযায়ী কাজ বুঝে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেইসাথে কোথাও এতোটুকু অনিয়ম পেলে তৎক্ষনাত ওই স্থান ভেঙ্গে পুনরায় তৈরী অথবা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিল বন্ধ করে দিতে চেয়েছেন বলে সুবিধাভোগীরা জানান। কথা হয় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকতারুজ্জামান ও সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দের সাথে, তারা জানান আমরা সিডিউল অনুযায়ী কাজ বুঝে নিচ্ছি। পাশাপাসি সরকারের কাছে আগামীতে যে সকল বীরনিবাস তৈরি করা হবে সেগুলোর সিডিউল পরিবর্তন করে বর্তমানে ২০ ইঞ্চি বেজ ঢালায়ের পরিবর্তে ৩০ইঞ্চি বেজ ঢালায় দিয়ে মেঝে পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ১৫ ইঞ্চি এবং সকল দেয়াল ১০ ইঞ্চি গাঁথুনির দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আট পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দৃষ্টিনন্দন বীরনিবাসের কাজ চলমান রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা যেনো সম্মানের সাথে মানসম্পন্ন বাড়িতে বসবাস করতে পারেন সে লক্ষে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে সব মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বীরনিবাস সুবিধার আওতায় আসবেন বলে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
|
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |