“ভারতে উৎসবের তালিকা থেকে ঈদকে বাদ দেয়া হয়েছে”
|
![]() মেহেদী হাসান আকাশ, ট্যুরিস্ট এন্ড ডোকোমেন্টরি প্রতিনিধি।
যে দেশটিতে ১৭ কোটি ৭২লাখ মু’সলিম রয়েছে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মুসলমানদের ঈদ উৎসবের উল্লেখ করলেন না। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ওই ভাষণ দেন ভারতের হিন্দুত্ববা’দী বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।মোদি হিন্দু ধর্মাবল্বী আসন্ন সবগুলো অনুষ্ঠান, যেমন গুরু পূর্ণিমা, গনেশ চতুর্থী, দিওয়ালি, দূর্গা পূজা, ছাট পূজা, এবং কাতি বিহুর উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আসছে আগস্টের ঈদের কথা মুখে আনেননি।১৫ মিনিটের বক্তৃতায় মোদি বলেছেন, “জুলাই মাস থেকে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হতে থাকে। দেখু’ন, ৫ জুলাই রয়েছে আমাদের গুরু পূর্ণিমা। এরপর শাওন শুরু হবে। এরপর আছে ১৫ আগস্ট, রক্ষা বন্ধ’ন, কৃষ্ণ জ’ন্মাষ্টমি, গণেশ চতুর্থী, ওনাম। আরও যদি সামনে যান, তাহলে আসবে বিহু, নবরাত্রি, দূর্গা পূজা, দুসেহরা, দিওয়ালি, ছাট পূজা”।এটা একটা নতুন ভারত যেখানে মু’সলিম উৎসবগুলোকে অবজ্ঞা করা যায়। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (এআইএমএম) এর প্রে’সিডেন্ট আসাদুদ্দিন ওয়াইসি উল্লেখ করেছেন যে, মোদি তার বক্তৃতায় চনার কথা পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ঈদের উল্লেখ করতে পারেননি।এরপরও ওয়াইসি মোদিকে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। মোদি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বলে যে শ্লোগান দিয়ে থাকেন, সেই শ্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধিকার কর্মী-স্কলার উমর খালিদ।এটা ই’চ্ছা করে বাদ দেয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। মুসলিমদের আ’ঘা’ত দেয়া এবং তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা ছাড়া এটা আর কিছু নয়। মু’সলিম’দের মোদি একমাত্র তখনই দেখতে পান যখন তারা রাস্তায় বিক্ষোভ করে। তিনি তাদের কাপড় দেখেই চিনতে পারেন। তার সমর্থকরা এরপর ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়।
|