একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষার চিত্রঃ আসমা আফরোজ
|
![]() ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা সুফল পেতে শুরু করেছে। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ার হার রোধ হচ্ছে। গাজীপুর জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোফাজ্জল হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন সাধন করে সকল মহলে নজর কেড়েছেন। সরকারি এই কর্মকর্তা গাজীপুরে যোগদানের পরপরই সকল সুধীজন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে শিক্ষকদের মাসিক সভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ তাদের কার্যক্রম, ইনোভেশন ও শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে দিক নির্দেশনা দেন। তিনি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে বিভিন্ন সাব-ক্লাস্টার আয়োজিত পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে শিক্ষকদের পারদর্শিতা ও সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত মনিটরিং করেন। এছাড়াও আকস্মিক স্কুল পরিদর্শন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার পর্যবেক্ষণ ও আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে পাঠদানের পরামর্শ দেন। সম্প্রতি তার উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিভিন্ন স্কুলের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ, শিক্ষা উপকরণ, টিফিন বক্স বিতরণ করছেন। ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে আইসিটির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য করছেন কর্মশালা। এছাড়া ও ভবিষ্যতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও সুন্দর জীবন গঠনে সহায়ক বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পঠন ও লিখন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সুন্দর হাতের লেখা, ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ ও সাবলীলভাবে পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ সব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীল ও সুন্দর হাতের লেখা, শব্দ ও বাক্যের গঠন এবং ভাষা প্রয়োগের দক্ষতা বৃদ্ধি, পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত সমশ্রেণির অন্যান্য বই, ম্যাগাজিন ও পত্রিকা লেখার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে জেলা কর্মকর্তার উদ্যোগে ‘সর্বমহলে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সারা বিশ্ব যখন করোনার করাল থাবায় আক্রান্ত, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ যখন করোনায় দিশাহারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, তখনও এই দুর্দান্ত সাহসী শিক্ষা অফিসার আট ঘাট বেঁধে নেমে পরেন কি করে আগামী প্রজন্ম কে সুস্থ্য রাখা যায়, কিভাবে শিখন ঘাটতি দূরীকরণ করে মেধা আর প্রজ্ঞার প্রতিফলন ঘটানো যায় কোমলপ্রাণ শিশু দের। সেই লক্ষ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন, যা প্রশংসার দাবিদার। ১- ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষক দের অন্তর্ভুক্ত করে করনীয় নির্ধারন। ২- শিক্ষার্থীর দোরগোড়ায় শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষকদের মাধ্যমে মূল্যায়ন ও মনিটরিং ব্যবস্হা জোড়দারকরন। ৩- শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য মনিটরিং ব্যবস্হা। ৪ -শিশুর শারিরীক ও মানসিক উৎকর্ষতা সাধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে শিক্ষক দের উদ্বুদ্ধকরন। ৫- শিক্ষার চলমান কাজে শিশুদের মনোনিবেশ করানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে জুম মিটিং, /ম্যাচে্ঞ্জার গ্রুপ করে নিয়মিত পড়াশোনা করার ব্যবস্হাকরন। ৬- প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার প্রধান শিক্ষক সকল সহকারী শিক্ষক, এসএমসি এর সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের( যত জন পারেন) নিয়ে জুম মিটিং করা। ৭-পৃথক পৃথক ছাত্র গ্রুপ ও ছাত্র ছাত্রী গ্রুপ করে শিক্ষকগণ জুম মিটিং, ইমু গ্রুপ এবং মেসেঞ্জার গ্রুপ করে কথা বলার ৮- শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ মেসেঞ্জারে শিক্ষকের কাছে পাঠাবে এবং শিক্ষক তা মূল্যায়ন করে মেসেঞ্জারেই শিক্ষার্থীর নিকট পাঠাবে। ৯- শিক্ষকগণ সপ্তাহের শুরুতে ৫-১৫ জন শিক্ষার্থীকে ফোন করে পড়া ও বাড়ির কাজ দেবেন এবং সপ্তাহের শেষে তা আদায় করা। ১০ -সকল কাজের রেকর্ড সংরক্ষণ করা। উপরিউক্ত কাজের মনিটরিং ব্যবস্হা জোড়দার করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাগন নিবেদিত। আলো ছড়ানোর জন্য এই মহৎপ্রাণ ও শিক্ষার জন্য নিবেদিতপ্রাণ নিজেই মোমবাতির ন্যায় প্রজ্জ্বলিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গাজীপুরবাসী বিশ্বাস করেন এই দূরদর্শী শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে গাজীপুর প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার একটি মডেল হিসেবে পরিগনিত হবে। অগনিত শিক্ষার্থী শিক্ষকের ভালবাসার দেয়ালে অাঁকা অাছে তাঁরই নাম অমর কবিতা হয়ে।ক্ষমতাহীন জীবন মরুতে তবুও তুমি জীবন্ত ইতিহাস,প্রতিটি মানুষের মননে প্রাথমিক শিক্ষার এক অবিনাশী কবিতগাজীপুরের প্রাথমিক শিক্ষার সততার মহীরুহ, অাদর্শের অমর হিমালয়, হিরন্ময় এ মাধবীক্ষণে তার অনাগত জীবনের জন্য রইল পরম প্রার্থনা। সুরভিত হোক সততার অালোয় তার প্রতিটি স্বপ্ন অার অনাগত অাগামি । এগিয়ে যাক প্রাথমিক শিক্ষা তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে।। |