দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান | প্রধানমন্ত্রী
|
![]() নূরী নাজনীন |
ঢাকা |
দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যা কবলিত মানুষেরপাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এবারের বন্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, সে ব্যাপারেও আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি ও যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে। আমাদেরকে বন্যার্তমানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, সকলকে কাজ করতে হবে। আমাদের তরফ থেকে ত্রাণের কোন সংকট নেই। রোববার বিকেল চারটার দিকে ধানমন্ডিতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের মুঠোফানে ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে উপস্থিত নেতাদের এই নির্দেশনা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে চারটার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠকে বসেন। বৈঠকে গণভবন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের জাহাঙ্গীর কবির নানকের মুঠোফোনে ভিডিও কলে সংযুক্ত হন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনসভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীরকবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকশিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদকআহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জাআজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলমচৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকআব্দুস সুবর, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতকার্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেসব এলাকার বন্যা,সেসব এলাকার স্থানীয় সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করে নিয়ে তারা যেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় সেভাবে নির্দেশ দিতে হবে। এদিকে আবার করোনা ভাইরাস, এটা নিয়েও সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। আমাদের তরফ থেকে ত্রাণের কোন সংকট নেই। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা আছে। তিনি আরও বলেন, বন্যায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে, তাদেরকে ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। স্কুল কলেজ; সেখানে তাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ধান কাটাও আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের সহায়তায় ভালভাবে করতে পেরেছি। ১৫ আগস্ট জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে যেভাবে করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে আমরা পারলাম না। তাই আমরা একদিকে বৃক্ষরোপণ করবো আরেকদিকে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ দিবো। দোয়া মোনাজাত করা হবে। বন্যাদুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে যাতে ত্রাণ পৌঁছানো, খাবার বিতরণ এবং তাদের পাশে দাড়ানো, তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা-এটাই হবে আমাদের কাজ। আমি বলবো, আমার পিতা, তিনিতো সাধারণ মানুষের জন্যই জীবন দিয়ে গেছেন। সবাইকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এবার যেহেতু করোনা ভাইরাস।তারপরও কোরবানির ঈদ। সবাই কোরবানি দিবে, সবাই সবার মতো মানুষকে সাহায্য করা, মানুষেরপাশে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। সে ব্যাপারে সিটি করপোরেশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। আমাদের সকলকেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
|