নওগাঁর আত্রাইয়ে তিন জন জয়িতার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর এক গল্প৷
|
![]() নওগাঁ প্রতিনিধিঃ মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন পরিচালনার জন্য সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা স্বরুপ অরুনা রানী,আদুরী খাতুন এবং রেহেনা বানুকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের অনুভূতি জানতে চাইলে জয়িতা অরুনা রানী বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ ও অক্ষম। সাংসারিক কাজ কর্ম তেমন করতে পারে না। আমি বাঁশ ও বেতর কাজের প্রশিক্ষন নিয়ে কাজ শুরু করি। এখন সংসারের অভাব অনেকটাই কমে গেছে। আমার দেখে প্রতিবেশি আরো অনেকে এ কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে আমি সুখে দিন যাপন করছি। জয়িতা মোছা: আদুরী খাতুন বলেন, অভাবি বাবা-মার সংসারে তিন মেয়ের মধ্যে আমি ছোট। অর্থের অভাবে বিএ ভর্তি হয়েও পড়াশোনা রেখে বিয়ের পিড়িঁতে বসতে হয়। আমাদের ১টি সন্তান হয়। ৬ বছর সংসার ভালোই চলে। স্বামীর দোকান চুরি হলে মানুষের কাছে অনেক টাকা ধার-দেনা করে স্বামী। একপর্যায়ে স্বামীকে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় যেতে হয়। নিরুপায় হয়ে আমি বিভিন্ন জায়গাতেই চাকুরী এবং মহিলা বিষয়ক অফিসের মাধ্যমে সেলাই এর উপর প্রশিক্ষন নেই। চাকুরীর পাশাপাশি মানুষের জামা-প্যান্ট সেলাই করে সংসার চালিয়ে স্বামীন দেনা পরিশোধে সহযোগিতা করি। বর্তমানে আমরা সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করছি। জয়িতা রেহেনা বানু বলেন, বাবা-মার ৮ সন্তান হওয়ায় আমার প্রতি অবহেলা অনাদর ছিলো চরম। মুখ বুজে সহ্য করতে হতো অনেক কিছু। ইচ্ছা থাকা সত্তেও পড়াশোনা করতে পাড়িনি। চাকুরী হয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় প্রথম সন্তান হয় আমাদের। পরপর তিন সন্তান কে আদর যত্ন করে বড় করেছি। তারা এখন সরকারের প্রথম শ্রেণির চাকুরী করে। ২০১০ সনে প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রমোশন পেয়ে সম্মানের সাথে তা সমাপ্ত করি। বর্তমানে আমরা সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করছি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কোন কাজকে ছোট না ভেবে অন্যের কাছে হাত না বাড়িয়ে কষ্টকে জয় করে সামনে এগিয়ে চলার জন্য অরুনা রানী, আদুরী খাতুন এবং রেহেনা বানুকে ধন্যবাদ জানান। |