আইন সংশোধন করে রিজার্ভ ব্যবহারের চিন্তাভাবনা
|
![]() নিউজ ডেস্কঃ একটি দেশে প্রতি মাসে গড়ে যে পরিমাণ আমদানি হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তার তিনগুণ ডলার মজুদ রাখাকে নিরাপদ ভাবা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ৪২’শ কোটি ডলারের বেশি। যা দিয়ে মেটানো যাবে দশমাসের আমদানি ব্যয়। আরো কয়েক বছর আগেই, রিজার্ভের অর্থ আমদানি ব্যয়ের বাইরে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করা যায় কিনা, সে বিষয়ে আলোচনা চলছিলো। এবার উন্নয়ন প্রকল্পে এই অর্থ ব্যবহারের কথা ভাবছে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের জনগণের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক সুরক্ষা এবং দেখভাল করে। এসব বিষয়ে নীতিমালা ঠিক করে সংসদ। সেখানে আইন পাশ করে যদি আমরা নিয়ে আসি তাহলে তো আর কারো কোন সমস্যা থাকার কথা না। আমরা বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে টাকা আনি কারণ আমাদের বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি ছিল। এখন তাদের কাছ থেকে না এনে আমাদের রিজার্ভে যে টাকা আছে, তার কিছু পরিমান নিয়ে আমরা আলাদা একটা ফান্ড করবো। রিজার্ভের অর্থ বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, হংকং। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। আইন সংশোধন করলেও, রিজার্ভের মতো জরুরি সঞ্চিতি দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিনিয়োগ করতে হলে কিন্তু সেটা এমনভাবে করতে হবে যাতে করে যখনই প্রয়োজন হবে ওই টাকা যেন নিয়ে আসা যায়। রিজার্ভ ব্যবহার করে এমন বিনিয়োগ ঝুঁকিপুর্ন। এমন বিনিয়োগ কিন্তু দেশের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। বিশ্বে ৫০ টির মতো দেশে রিজার্ভের অর্থে সার্বভৌম সম্পদ তহবিল রয়েছে। বাংলাদেশেও, ২০১৭ সালে একই উদ্যোগ নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর, এ বিষয়ে আর কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে এবার আগামী বাজেটের আগেই রিজার্ভ ব্যবহারের নীতিমালা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। |