বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে জাতির পিতার বালুর ভাস্কর্য।
|
![]() নিউজ ডেস্কঃ কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই ভাস্কর্য নির্মাণ করছে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান। মহান বিজয় দিবসের সকালে এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। প্রদর্শনী চলবে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট। সেখানে রাত-দিন বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের ১০ শিক্ষার্থী। সাগরের খোলা প্রান্তরে ১০ ফুট উচ্চতার আবক্ষ এবং ৬ ফুট উচ্চতার ও ১৪ ফুট প্রশস্তের আরেকটি ভাষ্কর্য নিমার্ণ করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, এটি বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় বালু ভাষ্কর্য। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাংচুর ও উগ্র-মৌলবাদীদের ন্যাক্কারজনক আচরণের প্রতিবাদ হিসেবে শিল্পকর্মটি উপস্থাপন করতে চান, বলছেন ভাস্কর্য শিল্পীরা। তারা বলেন, এই বালু ভাস্কর্যটি এ যাবৎকালের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি উগ্র-মৌলবাদ এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে অবস্থানের একটি প্রতিবাদ। ব্যান্ডিং কক্সবাজার নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই ভাস্কর্য। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করে আমরা সমগ্র কক্সবাজারবাসী প্রতিবাদ জানাতে চাই। আমাদের জাতির পিতার ভাস্কর্য বাংলাদেশে থাকবে, তার অস্তিত্ব সবসময়ই থাকবে। ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, আমরা সারাবিশ্বের কাছে বার্তা দিতে চাই ভাস্কর্য একটি ভাষা, এটি কোন মূর্তি নয়। এই ভাষার মাধ্যেই আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিজয় দিবসে মানববন্ধন ও নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য। প্রদর্শিত হবে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। |