ছয় মাসের মধ্যে পদ্মার সেতুর টোল নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী
|
![]() নিউজ ডেস্কঃ পদ্মাসেতুর অবয়ব এখন পুরোপুরিই দৃশ্যমান। তবে নদী পারাপারে এখনও ফেরিই ভরসা। ব্যক্তিগত যানে যারা নদী পার হচ্ছেন, তাদের টোল বাবদ দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। যাত্রীভর্তি বাসের জন্য দিনে ১৮৫০ আর রাতে তা ২৩২০ টাকা। ট্রাকের টোল ১৮৫০ টাকা। গতবছর সেতু বিভাগ পদ্মা সেতুর জন্য টোল হারের তালিকা করেছিলো। যেখানে ফেরি টোলের দেড়গুণ করে ধরা হয়েছিলো সেতুর টোল। সে হিসেবে, প্রাইভেট কারকে দিতে হবে সাড়ে সাতশ টাকা। বাস ২৩৭০, মাইক্রোবাস ১২৯০ আর ট্রাকের টোল ধরা হয়েছিলো ২৭৭৫ টাকা। সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা চুড়ান্ত না। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের একটা বোর্ড আছে। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় ফেব্রুয়ারীতে একটা মিটিং এর জন্য বলেছেন। সেখানে আমাদের একটা কমিটি করে দেয়া হবে, তারাই সবকিছু পর্যালোচনা করে একই সাথে আমাদের ফেরি সার্ভিসের যে ভাড়া সেটির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে টোলের হার চুড়ান্ত করবে। সেখানে অনুমোদন হলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিবেন। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় আগামি ছয় মাসের মধ্যে টোলের হার চুড়ান্ত হবে। ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর উপর দিয়ে চালু হয় বঙ্গবন্ধু সেতু। এখন সেতু পারাপারে ছোট বাস সাড়ে ছয়শ’, বড় বাস ৯০০, আকার ভেদে ট্রাককে দিতে হয় সাড়ে আটশ থেকে ১৪০০ টাকা। প্রাইভেট কারের টোল ৫০০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। আর পদ্মা সেতু ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার। নির্মাণেও খরচ হয়েঠে প্রায় আট গুন বেশি টাকা । |