ইরফান সেলিম জড়িত নৌ-কর্মকর্তাকে মারধরে
|
![]() নিউজ ডেস্কঃ সেলিমপুত্র ইরফানের নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মারধরের মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। অভিযোগপত্র জমা হতে পারে ডিসেম্বরেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে, ইরফানসহ ৫ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যে চার জন গ্রেপ্তার হলেও, পলাতক পঞ্চম আসামি। তাকে শনাক্ত করে গোয়েন্দারা বলছেন, তিনি ইরফানের আরেক দেহরক্ষী। ওয়াসিফকে মারধরেও জড়িত তিনি। পাশাপাশি খোঁজ চলছে, ঘটনাস্থল থেকে যে গাড়িতে করে ইরফান চলে যান সেটির। ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৩৭মিনিট। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতাল সামনে একটি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িতে উঠছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। তিনি বেড়িয়ে গেলে, সেখানে আসে একটি ল্যান্ড রোভার, সে গাড়িতে উঠে তাকে অনুসরণ করে তিন ব্যক্তি। ৭টা ৪৫ মিনিটে সেই ল্যান্ড রোভার গাড়িটিই ধাক্কা দেয় নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফের মোটরসাইকেলে। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিলেও গাড়ি থেকে নেমে তাকে গালাগাল করেন সেই তিন ব্যক্তি। পরে তাদের গাড়ি কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড সিগন্যালে দাঁড়ালে, সেখানে এসে গাড়ির জানালায় নক করেন ওয়াসিফ। এর পরপরই শারীরিক নির্যাতনের মুখে পড়েন তিনি। শেষে ল্যান্ড ক্রুজারে চড়ে সেখান থেকে চলে যান ইরফানসহ ৪ জন। এ ঘটনায় মামলা হলে একে একে গ্রেপ্তার হন ইরফান সেলিম, ইরফানের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু, দেহরক্ষী জাহিদ মোল্লা ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গোয়েন্দারা বলছেন দুই গাড়িতে আরোহী ছিলেন ৫ জন। নৌকর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় তাদের সবার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাদের মধ্যে এখনও পলাতক ইরফানের এক দেহরক্ষী। তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এসব তথ্য-প্রমাণসহ ডিসেম্বরেই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে দেহরক্ষী জাহিদ এরই মধ্যে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
|